কথায় বলে নো রিক্স নো গেন, যদি তুমি রিক্স না নাও তাহলে কোনো কিছু অর্জন করতে পারবে না। জীবনে কোন কিছু অ্যাচিভ করতে গেলে অনেক সময় অনেক ঝুঁকি নিতে হয়। ঠিক যেমনটা নিয়েছিলেন দিলীপ সাঙ্ঘভি। তিনি 2000 টাকা লোন নিয়ে একটি ব্যবসা শুরু করেছিলেন, বর্তমানে হাজার কোটির সম্পত্তি তার। ব্যবসার লড়াইতে একসময় পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন মুকেশ আম্বানিকেও, হয়ে উঠেছিলেন ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি।
গুজরাটের ডিস্ট্রিবিউটর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন দিলীপ এরপর কলকাতা থেকে স্নাতক পাশ করেন তিনি পরবর্তীতে ব্যবসা চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন। বাবার কাছ থেকে ২০০০ টাকা ধার নিয়ে ও ৫ জন ডিস্ট্রিবিউটর কে সাথে নিয়ে তিনি তার ওষুধ কোম্পানির যাত্রা শুরু করেন বর্তমানে এটি ভারতের একটি বিখ্যাত ঔষধ কোম্পানি হয়ে উঠেছে। প্রচুর মানুষ আছেন যারা এই কোম্পানির দ্রব্য ব্যবহার করেন।
আজ ভারত তথা বিশ্বের ওষুধের বাজারে তার কোম্পানি সান ফার্মার একচ্ছত্র রাজত্ব। শুরুর দিকে তিনি কিছু মানসিক রোগের ওষুধ তৈরি করেছিলেন, পরবর্তীতে আস্তে আস্তে এই কোম্পানি বড় হতে শুরু করে। বর্তমান সময়ে ভলিনি, রিভাইটালের মত অন দ্য কাউন্টার প্রোডাক্ট বিক্রি করছে তারা। এইভাবেই সান ফার্মা শেয়ার বাজারের বৃহত্তম ভারতীয় ওষুধ কোম্পানি হয়ে উঠেছে। বর্তমানে সান ফার্মার মার্কেট ক্যাপিটাল ২ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। করোনার সময়ে যখন অতিমারির কবলে গোটা দেশ যখন আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে, তখন যে সকল মানুষদের ব্যবসা লাভের মুখ দেখে ছিল তাদের মধ্যে দিলীপ সাঙ্ঘভি অন্যতম। ২০২০ তে তার সম্পদ ১৭ শতাংশ বেড়ে গেছে আর সান ফার্মার শেয়ারের দাম ৬০ শতাংশেরও বেশি বেড়ে গেছে গত এক বছরে।
আরও পড়ুন: কর্পোরেট সেক্টরের চাকরি ছেড়ে ব্যবসা! অদ্ভুত আইডিয়ায় ব্যবসা করে ২০ কোটির মালিক এই ব্যক্তি!
ফোর্বস ম্যাগাজিনের লেখা অনুযায়ী, বর্তমানে ১০৭৬ কোটি টাকার মালিক দিলীপ সাঙ্ঘভি ভারতের শীর্ষ দশ ধনী ভারতীয়ের বাইরে থাকলেও একসময় মুকেশ আম্বানির মতো বড় ব্যবসায়ীকে পিছনে ফেলে দিয়ে ধনী ভারতীয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তার জীবনকাহিনী মানুষকে যথেষ্টভাবে অনুপ্রাণিত করে। খুব অল্প টাকা থেকে ব্যবসা শুরু করে কীভাবে আজ দিন এত এত কোটি টাকার মালিক হলেন সত্যিই অবাক হতে হয়। আসলে উদ্দেশ্য যদি সৎ হয় আর কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা যদি থেকে থাকে তাহলে যেকোনো অসম্ভব লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব, দিলীপবাবুই তার প্রমান।